আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা

স্বাস্থ্য

আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা: আদা ভারতীয় উপমহাদেশের একটি অতি পরিচিত মসলা। রান্নার কাজে আদা সাধারণত ব্যাবহৃত হয়ে থাকে। তবে আদার রয়েছে অনেক ঔষধি গুণ। নানারকম রোগের চিকিৎসায় আদা ব্যাবহৃত হয়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আদার গুরুত্ব অনেক। নানারকম আয়ুর্বেদিক ঔষধ তৈরীতে আদা একটি অপরিহার্য উপাদান। এই আদা মূলত কাঁচা বা রান্না উভয় অবস্থাতেই খাওয়া যায়। 

আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিম্নে আলোচনা করা হলো:-

আদা খাওয়ার উপকারিতা

খালি পেটে সকালে এক চা চামচ আদার রস ও লেবুর রস হালকা গরম পানিতে মিশিয়ে খেলে পেট ফাঁপা, কৌষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস্টিক ইত্যাদি থেকে মুক্ত থাকা যায়। আদায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, দস্তা ও ফসফরাস জাতীয় খনিজ উপাদান। এছাড়াও এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, ভিটামিন-সি ও ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা পেটের নানা রকম সমস্যা সহজেই দূর করে।

আদা উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরলের ঝুঁকি কমায়। যাঁরা উচ্চ রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল এ আক্রান্ত তাদের নিয়মিত আদা খাওয়া দরকার। আদা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে একটি মহাঔষধ।

আদা ক্যান্সার এর মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি কমায়। আদায় রয়েছে এক ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধক উপাদান যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করে। এছাড়া আদা শরীরকে উষ্ণ রাখে তাই শীতকালে আদা খেলে ঠান্ডা, কফ, কাশি, জ্বর প্রভৃতি রোগবালাই থেকে সুরক্ষিত থাকা যায়। পরিমিত আদার রস মধুর সাথে মিশিয়ে খেলে গলা ব্যাথা থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি মেলে।

আদায় রয়েছে অ্যান্টি ভাইরাল উপাদান। তাই ভাইরাস জনিত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে আদা অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়া বমি বমি ভাব, চুল পরা রোধে ও দাঁতের জীবাণু ধ্বংসেও আদা ব্যাবহৃত হয়ে থাকে।

মোটকথা, আদা মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাই শরীরকে সুস্থ্য রাখতে নিয়মিত আদা খাওয়ার উপকারিতা উপেক্ষা করা যায় না।

আদা খাওয়ার অপকারিতা

অনেক উপকারীতার পাশাপাশি আদার কিছু অপকারি দিকও রয়েছে। অতিরিক্ত আদা খেলে যে সমস্যাগুলো হতে পারে সেগুলো হলো – অতিরিক্ত আদা খেলে রক্তক্ষরণ হতে পারে। তাই গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছারা আদা খাওয়া ঠিক নয়। আদার অতিরিক্ত ব্যাবহার রক্তচাপ ও সুগারের মাএা অস্বাভাবিক ভাবে কমিয়ে দিতে পারে, ফলে দেখা দিতে পারে শারীরিক জটিলতা। 

অতিরিক্ত আদা খেলে দেখা দিতে পারে অতি উত্তেজনা যা নানারকম মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই হৃদরোগ আক্রান্ত রুগীদের অতি সর্তকতার সাথে আদা খেতে হবে। এছাড়া আদার অতিরিক্ত ব্যাবহারের ফলে চোখ ও ত্বকের জ্বালাপোড়া, গলা চুলকানো এবং অন্যান্য শারীরীক অস্বস্তি হতে পারে।

যেহেতু আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা উভয়ই রয়েছে তাই আমাদের উচিত যেভাবে খাইলে আমাদের অপকারিতা হবে না সেই ভাবে খাওয় এবং ব্যবহার করা।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *