রক্তশূন্যতা দূর করার ঘরোয়া উপায়

অন্যান্য

রক্তশূন্যতা বা অ্যানিমিয়া আমাদের দেশে বহুল পরিচিত একটি রোগ। সব বয়সী নারী পুরুষদের ক্ষেএে রোগটি দেখা দেয়। তবে, মহিলা এবং শিশুরা মূলত এই রোগটিতে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।

মানবদেহের লোহিত রক্ত কনিকা বা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে রক্তশূণ্যতা দেখা দেয়। হিমোগ্লোবিন উপাদানটি আমিষ ও আয়রন দ্বারা গঠিত। তাই রক্তে আমিষ ও আয়রনের অভাব হলে রক্তশূন্যতার সৃষ্টি হয়।

রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত রুগীর মধ্যে কিছু সাধারণ উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায় যেমন- অবসন্নতা, ক্লান্তি বোধ, শ্বাস কষ্ট, মাথা ব্যাথা ইত্যাদি। অনেক সময় রুগীর মধ্যে বিভ্রান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, ভুলে যাওয়া ও অধিক তৃষ্ণা বোধ করা এই লক্ষ্মণগুলোও দেখা যায়।

কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যার দ্বারা রক্তশূন্যতা প্রতিকার করা যায়। এর জন্য প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কিছু নির্দিষ্ট উপাদান রাখতে হবে সেই সাথে কিছু কিছু খাদ্য উপাদান পরিহার করাও আবশ্যক।

যেমন- মাছ, মাংস, বাদাম, সবুজ শাক সবজি,  কচু, কলিজা এবং আমিষ জাতীয় খাদ্য। এগুলো খাবারে প্রচুর পরিমাণ আয়রন আছে যা শরীরে প্রয়োজনীয় আয়রনের চাহিদা পূরণ করে রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে সাহায্য করে।

রক্তশূন্যতার প্রধান কারণ যেহেতু আয়রনের অভাব, তাই প্রতিদিন আয়রন জাতীয় খাবার, আয়রন ট্যাবলেট অথবা ভিটামিন বি-১২ খেতে হবে। এগুলো শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে।

দুই টেবিল চামচ ইপসম লবণ আধা বালতি পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন ১৫/২০ মিনিট পা ঐ লবন মিশ্রিত পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে। এটি রক্তশূন্যতা প্রতিকারের বিশেষ এক পদ্ধতি।

প্রতিদিন পরিমাণ অনুযায়ী মধু খেলে নানা রকম রোগ বালাই থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। রক্তশূন্যতায় ভোগা রুগীদের জন্য প্রতিদিন এক চা-চামচ মধু বিশেষ উপকারী।

রক্তশূন্যতায় ভোগা রুগীদের জন্য আরেকটি বিশেষ চিকিৎসা হলো প্রতিদিন হাত পা মালিশ করা। এটি শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ সহায়ক।

আপেল, বিট রুট এবং টমেটোর জুস রক্তশূন্যতার রুগীদের জন্য অনেক উপকারী।

পরিশেষে বলা দরকার; রক্তশূন্যতা এমন একটি রোগ যেটি খাদ্যাভাসের মাধ্যমে দূর করা যায়। তাই প্রথাগত ডাক্তার ওপর ভরসা না করে রক্তশূন্যতার লক্ষণ দেখা দেয়ার সাথে সাথে উপরিউক্ত খাদ্য তালিকা অনুসরণ করতে হবে।

Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *